ইতিহাস বিখ্যাত কয়েকটি কেলেংকারি

প্রকাশঃ মে ১১, ২০১৬ সময়ঃ ৬:২৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:২৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

k

কলংকজনক ঘটনাই কেলেংকারি নামে পরিচিত। আর মানতে খারাপ লাগলেও সত্যি, একের কেলেংকারি অন্যের জন্য মুখরোচক আলোচনার বিষয়।

আসুন দেখে নিই এমন কিছু কেলেংকারির ঘটনা যা বিভিন্ন কারণে ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছে।

১। ওয়াটার গেট কেলেংকারি – বিখ্যাত কেলেংকারির কথা বললে প্রথমেই আসে ওয়াটার গেট কেলেংকারির নাম। এই কেলেংকারির নায়ক তথা খলনায়ক হলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭২ সালের ১৭ জুন ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি ও ফেডারেল প্রশাসনের ৫ জন ব্যক্তি ওয়াটার গেট অফিস কমপ্লেক্সে অবস্থিত বিরোধী দল ড্যামোক্র্যাট পার্টির সদরদপ্তরে চুরি করে প্রবেশ করে এবং নির্বাচনী প্রচার ও রাজনৈতিক তথ্য শোনার জন্য আড়িপাতার যন্ত্র বসায়। এই ঘটনাটি ফাঁস করে দেন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সাবেক সম্পাদক দুজন সাংবাদিক বেঞ্জামিন ব্র্যাডলি এবং বব উডওয়ার্ড । এর জের ধরে পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে পদত্যাগ করতে হয়।

২। হাওয়ালা কেলেংকারি – হাওয়ালা অর্থ হুন্ডি অর্থ্যাৎ এক ধরণের অনানুষ্ঠানিক অর্থ আদান-প্রদাণের উপায়। এই কেলেংকারির মূল হোতা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী  নরসিমা রাও। এছাড়া আর যেসব রাজনীতিবিদ এই কেলেংকারীর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন তারা হলেন বিজেপির এল. কে. আদভানি, ভি. সি. শুক্লা, পি. শিব শঙ্কর, শারদ যাদব, মদন লালা খুরানা। এই রাজনীতিবিদরা জেইন ভাইদের নিকট হতে ১৮ মিলিয়ন রূপি উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় সারা ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সমালোচিত ভূমিকা ও অন্যান্য কারণে এই ঘটনার কোন বিচার হয়নি।

৩। বোফোর্স কেলেংকারি – অত্তাভিও কুয়াত্রচি নামক গান্ধী পরিবারে ঘনিষ্ট একজন ইতালীয় ব্যাবসায়ীযর মাধ্যমে সুইডেনের অস্ত্র নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান বোফোর্সের নিকট থেকে ১৯৮৭ সালে অস্ত্র ক্রয়ের দুর্নীতিই বোফোর্স কেলেংকারি নামে পরিচিত। এই কেলেংকারির নায়ক হলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। গান্ধীর অর্থমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনার জন্য সিংহকে মন্ত্রিত্য থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং পরে কংগ্রেস থেকেও বহিস্কার করা হয়। পরে দ্য হিন্দু সংবাদ পত্রের নর্সিমহান রাম ও চিত্রা সুব্রামানিয়াম যখন এই ব্যাপারে অনুসন্ধান জারি রাখেন তখন জানা যায় রাজীব গান্ধী নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে এতে জড়িয়ে পড়েছিলেন৷ এই ঘটনা তাঁর ‘দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতিক’-এর ভাবমূর্তি কে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়ে ছিল। অবশ্য পরে ২০০৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর নির্দোশিতা প্রমানিত হয়।

৪। ইরান-কন্ট্রা কেলেংকারি – এই কেলেংকারির মূল হোতা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। যুক্তরাষ্ট্র অবৈধভাবে ইরানের নিকট অস্ত্র বিক্রি করে এবং বিক্রয়ের টাকা নিকারাগুয়ার কন্ট্রা বিদ্রোহীদের সাহায্য হিসেবে প্রদাণ করে। এই কেলেংকারির সাথে কর্ণেল অলিভার নর্থ বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G